জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড বাংলাদেশের সকল নাগরিকের অধিকার। নতুন ভোটার নিবন্ধন করার পর ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া এবং ভোটার আইডি কার্ড পেলে তথ্য ভুল বা সংশোধন বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

অনেকেই এসব সমস্যার সমাধান নিজে করতে পারেনা। তাই, NIDBD.blog ওয়েবসাইটে এনআইডি কার্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

এই পেজে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি এবং মাইক্রোচিপ সংযুক্ত প্লাস্টিকের স্মার্ট এনআইডি কার্ড উভয় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এখানে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

নতুন ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর

১৭ বছর বয়স হলে যেকোনো ব্যক্তি ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। ভোটার হতে নিবন্ধন করার সময় অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

নতুন ভোটার নিবন্ধন করার সময় যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। আশা করছি এখানে আপনার প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন।

নতুন ভোটার আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে?

পাসপোর্ট, বাবা-মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, নাগরিক সনদ, এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে), জন্ম নিবন্ধন সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।

নতুন ভোটার হতে কত টাকা লাগে?

নতুন ভোটার আবেদন করতে কোনো টাকা লাগেনা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে, কাগজপত্র স্ক্যান করতে বা ফটোকপি করতে কিছু টাকা লাগে। এছাড়া আর কোনো টাকা লাগেনা।

নতুন ভোটার হতে কত দিন সময় লাগে?

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার এক মাস থেকে তিন মাসের মাঝে আইডি কার্ড তৈরি হয়। অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন।

দ্বৈত ভোটার হলে করণীয় কি?

দ্বৈত ভোটার হলে আসল আইডি কার্ড এবং নকল আইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করতে হবে। নকল ভোটার আইডি কার্ডটি বাতিল করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড চেক সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর

নতুন ভোটার নিবন্ধন করার পর অনেকেই এসএমএস এর মাধ্যমে এনআইডি কার্ডের নাম্বার পায়না। ১০৫ নাম্বার থেকে যারা এসএমএস পায়না, তাদেরকে আলাদা করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হয়।

ভোটার আইডি কার্ড চেক করে আইডি কার্ড অনলাইনে এসেছে কিনা যাচাই করা যায়। NID Card Check করার পদ্ধতি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবো?

https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/claim-account লিংকে ভিজিট করে ফরমটি পূরণ করুন। এরপর, সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে যদি পপআপ আসে, তাহলে বুঝবেন আপনার আইডি কার্ড তৈরি হয়েছে।

এসএমএস এর মাধ্যমে এনআইডি নাম্বার পাইনি, কি করবো?

ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হলে এসএমএস এর মাধ্যমে এনআইডি নাম্বার জানিয়ে দেয়া হয়। এসএমএস না পেলে ভোটার স্লিপে থাকা ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।

অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত। এই সমস্যার সমাধান কি?

অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত। একটু পরে আবার চেষ্টা করুন। এই সমস্যা দেখা দিলে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে এই সমস্যা সমাধান করা যায়। এই লিংকে ক্লিক করে পোস্টটি পড়লে বিস্তারিত সমাধান জানতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর

ভোটার নিবন্ধন করার পর ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হলে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়। আইডি কার্ডের পিডিএফ কপি প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে সেটি ব্যবহার করা যায় ইচ্ছেমতো।

NID Card Download করার সময় অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এ সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

স্মার্ট কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করবো?

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করা যায়না। তবে, আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। এজন্য, এনআইডি একাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে।

এনআইডি সার্ভার কপি ডাউনলোড করবো কিভাবে?

NID Server Copy ডাউনলোড করতে e-amarseba.com ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। রেজিস্টার করুন। প্রোফাইল থেকে এডিট অপশনে গিয়ে এনআইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ লিখুন। ফি পরিশোধ করার মাধ্যমে সার্ভার কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

ঠিকানা ভুল দেওয়ায় একাউন্ট লক হয়ে গেছে, করনীয় কি?

এনআইডি অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করার সময় তিনবারের বেশি ভুল ঠিকানা নির্বাচন করলে একাউন্ট লক করে দেয়া হয়। একাউন্ট লক হলে ১০৫ নাম্বারে কল করে/নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করে/৭ দিন লগইন না করে অপেক্ষা করার মাধ্যমে একাউন্ট আনলক করা যাবে।

এনআইডি ফরম নাম্বার ভুল বললে করনীয় কী?

এনআইডি ফরম নাম্বার ভুল দেখালে শুরুতে NIDFN লিখুন। NIDFN লেখার পর কোনো স্পেস দেয়া যাবেনা। যেমন – NIDFN123456789

একাউন্ট নিবন্ধন করার পরেও এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাচ্ছে না কেন?

পূর্বের ভোটাররা এনআইডি অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করলেও আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না। আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে রিইস্যু আবেদন করতে হবে। ফি জমা দেয়ার পর আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর

ভোটার নিবন্ধন করার পর ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোনো তথ্য ভুল দেখা দেয়, তাহলে অতি শীঘ্রই আইডি কার্ড সংশোধন করতে হবে। আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন না করা হলে ভবিষ্যতে চাকরি এবং পড়ালেখা বিষয়ক কাজে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

কিভাবে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে হয়, সংশোধন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন এবং এসব প্রশ্নের উত্তর নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

এনআইডি কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?

এনআইডি কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধন করার জন্য অনলাইনে কিংবা নির্বাচন কমিশন অফিসে সংশোধন আবেদন করতে হবে। সঠিক ডকুমেন্ট সাবমিট করার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে?

এসএসসি/সমমান সনদের সত্যায়িত কপি, স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি, জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট।

ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?

ভোটার আইডি কার্ডের এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে, সংশোধন আবেদনের যৌক্তিকতা না থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবেনা।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে ২৩০ টাকা সংশোধন ফি জমা দিতে হয়। সংশোধন আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর ২৩০ টাকা রি ইস্যু ফি দিয়ে নতুন আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?

“ক” ক্যাটাগরির তথ্য সংশোধনে ৭ দিন, “খ” ক্যাটাগরির তথ্য সংশোধনে ১৫ দিন, “গ” ক্যাটাগরির তথ্য সংশোধনে ৩০ দিন এবং “ঘ” ক্যাটাগরির তথ্য সংশোধনে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।

হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করব?

হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড সংশোধন করতে এনআইডি একাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। এরপর, প্রোফাইল থেকে তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। অতঃপর, রি ইস্যু আবেদন করে নতুন তথ্যযুক্ত আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।