ভোটার আইডি কার্ড রি ইস্যু করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন বা নষ্ট হয়ে গেছে। রি ইস্যু করার মাধ্যমে আবারও নতুন এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে রিইস্যু করার মাধ্যমে আবারও আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যায়। তবে, রিইস্যু করার জন্য প্রথমেই থানায় একটি জিডি করতে হবে। এরপর, জিডির কপি ও তথ্য দিয়ে অনলাইনে আইডি কার্ড রি ইস্যু আবেদন করা যাবে।

কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র রি ইস্যু করবেন বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টে।

ভোটার আইডি কার্ড রি ইস্যু ফি

ভোটার আইডি কার্ড রি ইস্যু করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে। আপনার আইডি কার্ড রি ইস্যু করতে কত টাকা ফি প্রযোজ্য হবে তা জানার জন্য রি ইস্যু ফি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করুন। এজন্য, https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/fees লিংকে ভিজিট করুন।

উক্ত লিংকে ভিজিট করে প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর লিখুন। এরপর, আবেদনের ধরণ থেকে রিইস্যু সিলেক্ট করুন। বিতরণের ধরণ থেকে আপনার সাধারণ আইডি কার্ড রি ইস্যু করতে চান নাকি স্মার্ট কার্ড রি ইস্যু করতে চান, সিলেক্ট করুন।

ক্যাপচা কোডটি পূরণ করে হিসাব করুন বাটনে ক্লিক করলে NID Card Re-issue Fee কত টাকা তা জানতে পারবেন।

এনআইডি কার্ড রিইস্যু ফি তালিকা –

রিইস্যু এর জন্য সাধারণ ডেলিভারী ফি 230 টাকা
রিইস্যু এর জন্য জরুরি ডেলিভারী ফি 345 টাকা
রিইস্যু এর জন্য সাধারণ স্মার্ট কার্ড ডেলিভারী ফি 230 টাকা
রিইস্যু এর জন্য জরুরি স্মার্ট কার্ড ডেলিভারী ফি 345 টাকা

স্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেলে সাধারণত এই পদ্ধতিতে রি ইস্যু করা যায়না। ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এজন্য, স্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয় পোস্টটি অনুসরণ করুন।

রিইস্যু ফি প্রদান করার নিয়ম

রিইস্যু আবেদন করার পূর্বে ফি প্রদান করতে হবে। ফি প্রদানের নূন্যতম ৩০ মিনিট পর রিইস্যু আবেদন করতে পারবেন। ফি নিম্নোক্ত ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।

বিকাশ লিমিটেড।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড।
ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং টি-ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড।
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এবং ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং।
ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড এবং উপায় মোবাইল ব্যাংকিং।

উপরোক্ত মাধ্যমগুলো থেকে ফি পরিশোধ করা গেলেও বিকাশের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন সহজেই। বিকাশ দিয়ে এনআইডি সেবার ফি প্রদানের নিয়ম নিম্নে বর্ণিত।

রিইস্যু ফি পরিশোধ করার পূর্বে অবশ্যই থানায় গিয়ে জিডি করে জিডির একটি কপি সাথে নিয়ে আসবেন।

বিকাশের মাধ্যমে এনআইডি সেবার ফি প্রদান

বিকাশ অ্যাপ ওপেন করে পে বিল অপশনে ক্লিক করুন। সরকারি ফি অপশনে ক্লিক করে NID Service সিলেক্ট করুন। আবেদনের ধরণ থেকে রিইস্যু সিলেক্ট করুন। এনআইডি নাম্বার লিখে পরবর্তী ধাপে যান। ফি এর পরিমাণ দেখতে পারবেন। এরপরের ধাপে গিয়ে বিকাশের পিন দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।

ফি প্রদান সম্পন্ন হলে ৩০ মিনিট সময় অপেক্ষা করুন। তারপর নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে এনআইডি কার্ড রি ইস্যু আবেদন করুন।

আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন, ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড পোস্টটি অনুসরণ করে ফ্রিতেই আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড রি ইস্যু করার নিয়ম

এনআইডি একাউন্টে লগইন করুন। যদি একাউন্ট না থাকে তবে, এনআইডি একাউন্ট রেজিস্টার করুন। একাউন্টে প্রবেশ করে প্রোফাইল সেকশনে যান। অতঃপর, রিইস্যু অপশনে ক্লিক করুন।

রিইস্যুর জন্য তথ্য পূরণ করুন। এখানে, জিডির সকল তথ্য যুক্ত করতে হবে। অতঃপর, পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

পরবর্তী ধাপে গিয়ে দেখতে পারবেন আপনার ফি পরিশোধ হয়েছে কিনা। পরিশোধ হলে আবারও পরবর্তী ধাপে যাবেন। এরপর, জিডির কপির স্ক্যান কপি বা ছবি আপলোড করবেন। তারপর আবারও পরবর্তী ধাপে গিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন।

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে অনলাইনে ঘরে বসেই ভোটার আইডি কার্ড রি ইস্যু আবেদন করতে পারবেন। যারা ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে ফেলেছেন/চুরি হয়ে গেছে/নষ্ট হয়ে গেছে/ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, তারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে নতুন আইডি কার্ড পাবেন।

এছাড়া, যারা আগের এনআইডি কার্ড আবারও ফিরে পেতে চাচ্ছেন, তারা পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

যারা ঠিকানা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন, আবেদন অনুমোদন হলে রিইস্যু আবেদন করে নতুন আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন। নতুন আইডি কার্ডে আপনার সংশোধিত ঠিকানা থাকবে।