ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন? স্থায়ী ঠিকানা ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকলে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার হওয়া যায়।
চাকরি বা কাজের সুবাদে অনেকেই স্থায়ী ঠিকানা ছেড়ে অন্য জায়গায় বসবাস করেন। সেক্ষেত্রে, ভোট প্রদানের সময় স্থায়ী ঠিকানায় আসা-যাওয়া অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তাই, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করা হলে বর্তমান ঠিকানায় ভোটার হওয়া যায় এবং ভোট প্রদান করা যায়।
আপনার বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে এই পোস্টে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে
বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য একটি আবেদন করতে হয়। আবেদন করার সময় NID Form 13 পূরণ করতে হয় প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে। এই ফরমটি পূরণ করার পাশাপাশি সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়।
NID Form 13 পূরণ করে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে যা যা লাগবে তার একটি তালিকা নিম্নরূপ –
- পূরণকৃত নির্ধারিত আবেদন ফরম (ফরম ১৩)
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- ফরমের অপর পৃষ্ঠায় সনাক্তকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষর, NID নম্বর ও সীল
- সংশ্লিষ্ট মেয়র/চেয়ারম্যানের প্রত্যনপত্র
- সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পিতা/মাতা/ভাই/বোন/স্বামী/স্ত্রীর যেকোনো একজনের NID কপি
- বিদ্যুৎ এবং ইউ.পি ট্যাক্স এর কপি
উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো এনআইডি ফরম ১৩ এর সাথে জমা দিতে হবে। এনআইডি ফরম ১৩ অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। নিচে NID Form 13 এর পিডিএফ ফাইল সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
NID Form 13 PDF Download
ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩ নিম্নে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন। এরপর, যথাযথ তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। নিচে আরও বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে NID Form 13 ডাউনলোড করে ফরমটি প্রিন্ট করে নিন। এরপর, ফরমে চাহিত সকল তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করুন।
ফরমটিতে আবেদনকারীর নাম, ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার, জন্ম তারিখ, বর্তমান ঠিকানা, যে এলাকায় স্থানান্তর হতে চায় তার তথ্য সহ বেশ কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে।
এছাড়া, আবেদনকারীর স্বাক্ষর, সনাক্তকারীর স্বাক্ষর সহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।
ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে উপরে উল্লেখ করে দেয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো ফরমের সাথে সংযুক্ত করে আবেদনকারীকে নিজে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে এবং স্বাক্ষর করতে হবে।
এই পদ্ধতিতে আবেদন করার পর নির্বাচন কমিশন থেকে আপনার আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। এরপর, তারা আবেদনটি অনুমোদন করলে পরবর্তী সময় থেকে নতুন স্থানের ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে সেখানে আপনার নাম থাকবে। ফলে, নতুন স্থানে ভোট প্রদান করতে পারবেন।