ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখন আবেদনটি বাতিল করতে চাচ্ছেন? সংশোধন আবেদনে ভুল তথ্য দিলে উক্ত আবেদন কিভাবে বাতিল করতে হয় তা জানতে পারবেন এই পোস্টে।

ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট আইডি কার্ডে যদি ভুল তথ্য থাকে, তাহলে তা ঠিক করার জন্য সংশোধন আবেদন করতে হয়। সংশোধন আবেদন করার সময় যদি ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করেন, তাহলে আবেদনটি অনুমোদন হবেনা বা অনুমোদন হলে আবারও ভুল তথ্য দিয়ে এনআইডি কার্ড সংশোধন হবে।

তাই, ভুল তথ্য প্রদান করলে বা অন্য কোনো কারণে চাইলে সংশোধন আবেদন বাতিল করতে পারবেন। আরও জানতে শেষ অব্দি পড়ুন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন বাতিল

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশন অফিস বরাবর একটি আবেদন পত্র লিখতে হবে। আবেদন পত্র লেখার সময় কবে সংশোধন আবেদন করেছেন তার তারিখ, আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম এবং এনআইডি কার্ডের নাম্বার উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন করার পর সংশ্লিষ্ট অফিসার আপনার আবেদনটি যাচাই করে দেখবে। এরপর, এনআইডি কার্ড সংশোধন আবেদনটি বাতিল করে দিবে।

কিন্তু, এই আবেদন করতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদন করার কিছুদিনের মাঝেই। কারণ, আবেদন করতে দেরি করলে সংশোধন আবেদন অনুমোদন হতে পারে। ফলে, নতুন করে বাতিলের আবেদন করে কোনো লাভ হবেনা।

তাই, সংশোধন আবেদন করার পর তা বাতিল করতে চাইলে বাতিলের আবেদন যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। আবেদনের নমুনা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

সংশোধন আবেদন বাতিলের দরখাস্ত

নিম্নোক্ত নমুনা অনুসরণ করে এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিলের জন্য দরখাস্ত লিখতে পারবেন। দরখাস্ত লেখার পর তা জমা দিন নির্বাচন কমিশন অফিসে।

সংশোধন আবেদন করার পর যত দ্রুত সম্ভব তা বাতিলের জন্য আবেদন করতে হবে। নয়তো, আপনার আবেদনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ হয়ে তা সংশোধন হয়ে যাবে। অতঃপর, আবারও নতুন করে আইডি কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য ঝামেলায় পড়তে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদন বাতিলের জন্য দরখাস্ত করার পর নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে আপনার পূর্বের আবেদনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হবে। ক্যাটাগরিতে ভাগ হয়ে গেলেই আবেদনটি বাতিল করে দেয়া হবে।

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে যেকোনো ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনে ভুল তথ্য দিলে উক্ত আবেদন বাতিল করতে পারবেন।