আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ কত বছর জানেন? মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে রিনিউ করতে হবে কিনা বা আসলেই মেয়াদ আছে কিনা জানতে পারবেন এই পোস্টে।
আপনি হয়তো অনেক জায়গায় শুনে/দেখে থাকবেন যে, “ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ ২ বছর বা ১৫ বছর।” আসলেই এই আমাদের এনআইডি কার্ডের কোনো মেয়াদ আছে? মেয়াদ শেষ হলে আবার রিনিউ করতে হবে?
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে। আপনার NID Card এর মেয়াদ কতদিন জানতে শেষ অব্দি পড়ুন।
জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ কত বছর
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বিতরণ করার সময় ২ বছর মেয়াদ এবং অনেক সময় ১৫ বছর মেয়াদের আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ করার উদ্দেশ্যে এত কম মেয়াদের আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে সবার মাঝে।
তবে, দেশের প্রায় ৯ কোটির বেশি ভোটারের মাঝে মাত্র ১ কোটির বেশি ভোটার স্মার্ট এনআইডি কার্ড পেয়েছেন। সকল ভোটারের মাঝে এনআইডি কার্ড বিতরণ করা সম্ভব হয়নি জন্য ইলেকশন কমিশন থেকে ভোটার আইডি কার্ডের মেয়াদ তুলে নেয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ পূর্বে ২ বছর বা ১৫ বছর থাকলেও, বর্তমানে এনআইডি কার্ডের কোনো মেয়াদ নেই। আজীবন ব্যবহার করতে পারবেন আপনার এনআইডি কার্ডটি।
যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা এনআইডি একাউন্ট রেজিস্টার করে আজীবন মেয়াদের এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া, নতুন ভোটাররা এনআইডি একাউন্ট থেকে আজীবন মেয়াদের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
স্মার্ট আইডি কার্ডের মেয়াদ কত বছর
স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ করার পর দেখা গেছে এর পিছনে কোনো মেয়াদ দেয়া নেই। অর্থাৎ, স্মার্ট এনআইডি কার্ডের কোনো মেয়াদ নেই। তাই, স্মার্ট আইডি কার্ড পেয়ে থাকলে, তা আজীবন মেয়াদে ব্যবহার করতে পারবেন।
যারা ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন, তাদের উক্ত আইডি কার্ডটির মেয়াদ শেষ হওয়া বা রিনিউ করা নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। যারা অনেক আগে ভোটার হওয়ার পরেও স্মার্ট কার্ড পাননি, তারা স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস চেক করে দেখুন আপনার আইডি কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা।