অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত। একটু পরে আবার চেষ্টা করুন – এই সমস্যায় পড়েছেন? কিভাবে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করবেন বুঝতে পারছেন না? সমাধান আছে এই পোস্টে।

এনআইডি একাউন্ট রেজিস্টার করার সময় অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত এই সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন কারণে দেখাতে পারে। সমস্যাটি আসলে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করা যায়না। কিভাবে সমস্যাটি সমাধান করবেন এবং এনআইডি অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করবেন জানতে পারবেন এই পোস্টে।

অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত। একটু পরে আবার চেষ্টা করুন

অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত

তথ্য ভুল থাকলে বা এনআইডি কার্ড তৈরি হওয়ার আগেই ভোটার অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করার চেষ্টা করলে এই সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে। তবে, এনআইডি সার্ভারে সমস্যা থাকলেও অনেক সময় এই সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে। এই সমস্যাটি সমাধান করার জন্য আমরা কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি।

  • ফরম নাম্বারের আগে NIDFN লেখা
  • জন্ম তারিখের ফরম্যাট চেক করা
  • ফরম নাম্বার ও জন্ম তারিখ সঠিক কিনা যাচাই করা
  • অপেক্ষা করা

মূলত উপরোক্ত পদ্ধতিটি ৪টি অনুসরণ করে আমরা এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারবো। এই ৪টি পদ্ধতি নিয়ে নিম্নে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ফরম নাম্বারের আগে NIDFN লেখা

NID Account Register করার সময় যদি ভোটার স্লিপে থাকা ফরম নাম্বার ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে শুরুতে NIDFN লিখতে হবে। NIDFN না লিখে শুধু ফরম নাম্বার লিখলে এই সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে।

এছাড়া, আপনি যদি NIDFN লিখে স্পেস দিয়ে ফরম নাম্বার লেখেন, তাহলেও একই সমস্যা দেখা দিবে। তাই, NIDFN লেখার পর কোনো স্পেস না দিয়ে ফরম নাম্বার লিখতে হবে। যেমন – NIDFN123456789

জন্ম তারিখের ফরম্যাট চেক করা

অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করার সময় জন্ম তারিখের ফরম্যাট দিতে হবে দিন-মাস-বছর এভাবে। অর্থাৎ, শুরুতে তারিখ, এরপর মাস এবং শেষে বছর লিখতে হবে। যদি ১ থেকে ৯ হয়, তাহলে শুরুতে শূন্য লিখতে হবে।

অর্থাৎ, যেকোনো ব্যক্তির জন্ম তারিখ যদি ৮ নভেম্বর ২০০১ সাল হয়, তাহলে এভাবে লিখতে হবে — 08-11-2001 । জন্ম তারিখের ফরম্যাট ভুল থাকলেও উপরোক্ত এই সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে। তাই, জন্ম তারিখের ফরম্যাট চেক করুন।

ফরম নাম্বার ও জন্ম তারিখ সঠিক কিনা যাচাই করা

ফরম নাম্বার এবং জন্ম তারিখ লেখার ফরম্যাট ঠিক থাকলেও, যদি আপনার ফরম নাম্বার এবং জন্ম তারিখের মাঝে অমিল থাকে, তাহলে শত চেষ্টা করলেও বারবার একই ইরর দেখাবে।

তাই, আপনার ভোটার স্লিপে থাকা ফরম নাম্বার এবং নিবন্ধনের সময় দেয়া জন্ম তারিখ মিলিয়ে দেখুন। যদি, ভুল এন্টার করে থাকেন, তাহলে সঠিকটি লিখে আবারও চেষ্টা করুন।

উপরোক্ত এই তিনটি ধাপ অনুসরণ করলে ইতোমধ্যে আপনার সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা। এরপরেও যদি সমস্যাটি দেখা দেয়, তাহলে পরবর্তী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন।

যদি এসএমএস এর মাধ্যমে এনআইডি নাম্বার পেয়ে থাকেন, তাহলে ভোটার স্লিপের নাম্বার ব্যবহার না করে এনআইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ব্যবহার করে দেখুন।

অপেক্ষা করা

ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার পর ছবি তুলতে হয় এবং বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হয়। এরপর, ২০ থেকে ৩০ দিন কিংবা অনেক ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে আপলোড করতে।

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে আসার আগে যদি ভোটার অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করার চেষ্টা করেন, তাহলে একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করেও যদি সমস্যাটি সমাধান না হয়, তাহলে কয়েকদিন অপেক্ষা করে দেখুন।

এনআইডি সার্ভারে সমস্যা কিংবা আপনার আইডি কার্ড তৈরি না হওয়ার সমস্যা হয়ে থাকলে তা দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে। ফলে, আপনি আবারও চেষ্টা করলে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে পারবেন।

সম্পর্কিত তথ্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *